প্রবাসে গিয়ে সেই স্বপ্নের পথটা সহজ হয় না কখনও। নানা বাধা-বিপত্তি, ভাষার সমস্যা, কাজের চাপ আর মানসিক ক্লান্তি—সবকিছু সইতে হয় নীরবে। দিনের পর দিন কঠিন পরিশ্রম, অচেনা পরিবেশ, এবং অনেক সময় অবহেলা ও অপমান সঙ্গী হয়। তবুও থেমে থাকে না প্রবাসীর পথচলা। কারণ তাদের হৃদয়ে একটাই লক্ষ্য—পরিবারের মুখে হাসি ফোটানো।
তারা যখন টাকা পাঠায়, তা শুধু কাগজের নোট নয়—তার ভেতর লুকিয়ে থাকে তাদের ঘামের গন্ধ, কষ্টের স্পর্শ আর ভালোবাসার চিহ্ন। সেই অর্থে চলে সংসার, চলে দেশের অর্থনীতি। অথচ খুব কম মানুষ বোঝে সেই কষ্টের প্রকৃত রূপ।
প্রবাসীরা প্রতিদিন একটিই স্বপ্ন দেখেন—একদিন সব কিছু গুছিয়ে, হয়তো স্থায়ীভাবে আবার ফিরে যাবেন নিজের মাটিতে, মায়ের কোলে, পাড়া-মহল্লায়, প্রিয় চায়ের দোকানে। কিন্তু অনেক সময় সেই স্বপ্ন আর বাস্তব হয়ে ওঠে না। কেউ কেউ জীবনভর থেকে যান বিদেশ বিভুঁইয়ে, কেউ কেউ ফেরেন শুধুই কাফনের কাপড়ে।
তবু প্রবাসীরা স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখেন নিজের সন্তান যেন বাবার মতো প্রবাসজীবনের কষ্ট না পায়। স্বপ্ন দেখেন, নিজের দেশে যেন কাজের সুযোগ থাকে, যেন আর কাউকে প্রবাসে গিয়ে কাঁদতে না হয়।
এই পৃথিবীর প্রতিটি প্রবাসীই একজন নীরব যোদ্ধা। তারা গড়ে তোলেন নিজের ভাগ্য, পরিবারকে করেন সচ্ছল, দেশের অর্থনীতিতে রাখেন অবদান। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা—তারা নিজের ভিতরে লালন করেন এক অসীম ভালোবাসা, দেশের প্রতি, মাটির প্রতি।
আজকের এই দিনে সকল প্রবাসী যোদ্ধাদের প্রতি রইলো প্রাণভরা ভালোবাসা ও সম্মান। আপনাদের কারণেই বদলে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি বদলাচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ। আল্লাহ আপনাদেরকে সবসময় ভালো রাখুক।
লেখা: মুহাম্মাদ আবু আশফাক
0 মন্তব্যসমূহ
আশা করি আপনারা সবাই ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করবেন আমার ব্যক্তিগত মতামত আপনার ভালো না লাগলে এড়িয়ে চলুন।
ধন্যবাদ