আমরা প্রায়ই দেখি, কোরবানির পর মাংস বণ্টন শেষ হলেও রাস্তাঘাট, ড্রেন, কিংবা বাসার আশপাশে রক্ত ও বর্জ্য পড়ে থাকে। এতে শুধু দুর্গন্ধ ছড়ায় না, নানা রোগ-জীবাণুও দ্রুত বিস্তার লাভ করে। শিশু, বৃদ্ধ এমনকি সুস্থ মানুষও এতে আক্রান্ত হতে পারেন। অথচ একটু সচেতন হলেই এই সমস্যাগুলোর সহজ সমাধান সম্ভব।
পরিচ্ছন্নতা ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ”। তাহলে কীভাবে আমরা ঈমানদার হয়ে কোরবানি করি, আবার একই সঙ্গে পরিবেশকে নোংরা করে ফেলি? এটি আমাদের ভেবে দেখা দরকার।
আমাদের উচিত কোরবানির আগেই পশু জবাইয়ের স্থান ঠিক করে নেওয়া, বর্জ্য রাখার উপযোগী ব্যাগ ও সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা, এবং কোরবানির পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পন্ন করা। যদি সম্ভব হয়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সহযোগিতা নেওয়াও জরুরি।
আমরা যদি সত্যিই কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাই, তবে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতাকেও আমাদের আমলের অংশ বানাতে হবে। তাহলেই কোরবানির আনন্দ হবে পূর্ণ, আর আমাদের পরিবেশ থাকবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর।
আসুন, সচেতন হই। কোরবানি হোক পবিত্র, আর পরিবেশ হোক পরিচ্ছন্ন।
0 মন্তব্যসমূহ
আশা করি আপনারা সবাই ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করবেন আমার ব্যক্তিগত মতামত আপনার ভালো না লাগলে এড়িয়ে চলুন।
ধন্যবাদ