ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ: মুসলিম বিশ্বকে ইরানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান

বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা শুধু দুটি দেশের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নয়, বরং গোটা মুসলিম উম্মাহর অস্তিত্ব, অধিকার ও সম্মানের প্রশ্ন। ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে নিরপরাধ মুসলমানদের হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো প্রতিটি মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব।

ইরান বহুদিন ধরে ফিলিস্তিন ইস্যুতে সরব। তারা প্রকাশ্যে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরোধিতা করে আসছে এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। এর প্রতিশোধ নিতেই ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। আজ যখন ইরান সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তখন গোটা মুসলিম বিশ্বকে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

ইসলামের ইতিহাস বলে, মুসলমানরা যখন ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, তখন কোনো শক্তিই তাদেরকে পরাজিত করতে পারেনি। কিন্তু বিভক্তির কারণে মুসলিম উম্মাহ বারবার অপমানিত হয়েছে, দুর্বল হয়েছে। আজকের এই সংকটময় মুহূর্তে মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দ যদি নিজেদের স্বার্থে মুখ বুজে থাকে, তাহলে কাল তাদেরও একই পরিণতির শিকার হতে হবে।

ইরানের পাশে দাঁড়ানো মানে শুধু একটি দেশের পক্ষে অবস্থান নেওয়া নয়; বরং এটি ফিলিস্তিনের মুক্তির লড়াইয়ের পাশে দাঁড়ানো, এটি জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের পক্ষ নেওয়া। মুসলমানদের মাঝে বিভেদের রাজনীতি এখন বন্ধ করতে হবে। শিয়া-সুন্নি বিভাজন নয়, বরং ইসলাম, মুসলিম এবং মানবতার পক্ষে এক কণ্ঠে উচ্চারণ করতে হবে— 'অপরাধীর বিরুদ্ধে আমরা এক'।

আসুন, ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আমরা এই বার্তা ছড়িয়ে দিই— মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসনের জবাব ঐক্যবদ্ধভাবেই দেওয়া হবে। ইরান একা নয়, পুরো মুসলিম বিশ্ব তাদের পেছনে রয়েছে। আমাদের ঈমান, আত্মমর্যাদা ও মানবতার দিক বিবেচনা করে আজ সময় এসেছে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার।

এখন আর নিরব থাকার সময় নয়— আজকের এই যুদ্ধ ফিলিস্তিনের মুক্তি এবং মুসলিম উম্মাহর মর্যাদা পুনরুদ্ধারের যুদ্ধ। মুসলিম বিশ্ব জেগে উঠুক, ইরানের পাশে দাঁড়াক, ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবিতে এক হয়ে আওয়াজ তুলুক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ