ইরান যুদ্ধ চায়নি, চেয়েছিল ন্যায়ের পক্ষে থাকতে। কিন্তু ইসরায়েল তাদের সামরিক শক্তির দাপট দেখিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে আগুনের খেলায় ঠেলে দিয়েছে। যারা নিজেদেরকে সভ্যতার প্রতিনিধি বলে দাবি করে, তাদের আচরণ আজ একেবারে বর্বরদের মতো। দিনের পর দিন ফিলিস্তিনের মাটি রক্তে রঞ্জিত করেছে ইসরায়েলি সেনারা, অথচ তথাকথিত বিশ্বশক্তিগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। ইরান যখন এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে, তখন তাদেরকেই আগ্রাসী বলা হচ্ছে—এ যেন উল্টো বিচার।
বিশ্ববাসী ভুলে গেলে চলবে না, ইরান শুধু নিজেদের জন্য নয়, গোটা মুসলিম উম্মাহর পক্ষেই আওয়াজ তুলেছে। তারা যুদ্ধের জন্য নয়, নিপীড়িতের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য অস্ত্র ধরেছে। ফিলিস্তিনের রক্ত দেখে যারা নীরব থাকতে পারে না, তারাই আজ ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েল নিজেদের স্বার্থে, আধিপত্য বিস্তারের লোভে একের পর এক দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যুদ্ধ যদি বন্ধ করতেই হয়, তাহলে আগ্রাসী ইসরায়েলকেই থামতে হবে।
এই যুদ্ধের আসল শিকার কিন্তু সাধারণ মানুষ। ফিলিস্তিনের শিশুদের চোখের পানি, ইরানের নিরীহ মানুষের আর্তনাদ—সব মিলিয়ে গোটা মানবতা আজ আহত। যুদ্ধ কখনো শান্তি আনতে পারে না, তা শুধু ধ্বংস ডেকে আনে। কিন্তু এই ধ্বংসের দায় ইরানের নয়; বরং সেই শক্তিগুলোর, যারা দিনের পর দিন নিরীহ মানুষের রক্ত নিয়ে রাজনীতি করছে, মানবতাকে কলঙ্কিত করছে।
এখনই সময় বিশ্বের বিবেক জাগ্রত করার। এখনই সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কথা বলার। মানবতার স্বার্থে যুদ্ধ বন্ধ হোক। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ হোক। শান্তির পক্ষে দাঁড়াক গোটা বিশ্ব। ইরান নিপীড়িতের পক্ষে ছিল, আছে এবং থাকবে—আর ইসরায়েলকে থামতেই হবে।
এই পৃথিবীটা কারো একার নয়। এখানে যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। রক্ত নয়, ভালোবাসা চাই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মানবতার জয় চাই।
0 মন্তব্যসমূহ
আশা করি আপনারা সবাই ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করবেন আমার ব্যক্তিগত মতামত আপনার ভালো না লাগলে এড়িয়ে চলুন।
ধন্যবাদ