বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে শিক্ষার ধারণা অনেকটাই বদলে গেছে। আগে যেখানে বই-খাতাই ছিল শিক্ষার একমাত্র মাধ্যম, এখন সেখানে মোবাইল ফোন হয়ে উঠেছে এক অসাধারণ শিক্ষাসঙ্গী। বিশেষ করে যারা নিজে নিজে শেখার চেষ্টা করে বা অনলাইনভিত্তিক শিক্ষায় আগ্রহী, তাদের জন্য স্মার্টফোন যেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
একটি স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই তুমি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারো। ইউটিউব, গুগল, বা নানা ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। যেমন, গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো ভিডিও দেখে খুব সহজেই শেখা সম্ভব। আবার কেউ চাইলে ইসলামী শিক্ষা, কুরআন শিক্ষা বা আরবি ভাষাও মোবাইলের মাধ্যমে আয়ত্ত করতে পারে।
মোবাইলে নোট নেওয়ার জন্য রয়েছে অনেক ভালো অ্যাপ, যার মাধ্যমে তুমি নিজের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো গুছিয়ে রাখতে পারো। কাগজ-কলম সবসময় হাতের কাছে নাও থাকতে পারে, কিন্তু মোবাইল থাকলেই তুমি তাৎক্ষণিকভাবে লেখে রাখতে পারো প্রয়োজনীয় বিষয়। একইসাথে সময় ব্যবস্থাপনার জন্য কিছু অ্যাপ যেমন ফোকাস মোড, পড়াশোনার রিমাইন্ডার বা আলাদা টাইমার ব্যবহার করলে পড়ায় মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।
অনলাইনে হাজারো বই পাওয়া যায় যেগুলো পিডিএফ আকারে পড়া যায়, আবার প্রয়োজন অনুযায়ী ডাউনলোড করে অফলাইনেও পড়া যায়। এতে বই কেনার খরচও কমে, আর সবসময় হাতে থাকা বই পড়ার সুবিধাও পাওয়া যায়। এছাড়াও অনলাইনে মক টেস্ট বা কুইজ দিয়ে নিজেকে যাচাই করার সুযোগও রয়েছে।
তবে মোবাইল যেমন শিক্ষার বড় সহায়ক হতে পারে, তেমনি এটি সময় নষ্টের মাধ্যমও হতে পারে যদি সেটির ব্যবহার ঠিকভাবে না করা হয়। তাই সোশ্যাল মিডিয়া বা গেম থেকে দূরে থেকে পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ব্যবহার করতে হবে।
সবশেষে বলা যায়, মোবাইল যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে এটি শুধু একটুকরো যন্ত্র নয়—এটি হয়ে উঠতে পারে একজন শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহচর।
0 মন্তব্যসমূহ
আশা করি আপনারা সবাই ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করবেন আমার ব্যক্তিগত মতামত আপনার ভালো না লাগলে এড়িয়ে চলুন।
ধন্যবাদ