আমি কেন লিখি – Voice of Ashfaque-এর পেছনের গল্প

আমি অনেক আগে থেকেই লিখি না—ভাবি। নিজের মনে কথা বলি। চারপাশের মানুষ, সমাজ, পরিস্থিতি—সবকিছু দেখে একটা অনুভব তৈরি হয়, একটা প্রশ্ন জমা হয় মনে। সেই প্রশ্নের উত্তর সবসময় মেলে না, কিন্তু শব্দে রূপ দিতে পারলে কিছুটা শান্তি পাই।

“Voice of Ashfaque” আমার সেই না বলা কথাগুলোর জায়গা, যেখানে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। এখানে আমি আমার চিন্তা, অভিজ্ঞতা, ক্ষোভ, ভালোবাসা—সবকিছু উজাড় করে দিতে পারি। আমি লিখি, কারণ আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষের ভেতরে একটা কণ্ঠস্বর থাকে যেটা চায় কেউ শুনুক। আমি লিখি সেই কণ্ঠস্বরকে প্রকাশ করতে।

আমার লেখাগুলোতে হয়তো কোনো বড় ভাষা বা সাহিত্যের জৌলুস নেই, কিন্তু আছে মনের গভীর থেকে আসা অনুভব। কখনও লিখি সমাজ নিয়ে—যেখানে ন্যায়ের অভাব, বৈষম্য, অন্যায় আমাকে আহত করে। কখনও লিখি বিশ্বাস নিয়ে—যেখানে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা আর রাসূল (সা.)-এর আদর্শ আমাকে আলো দেখায়। আবার কখনও লিখি খুব সাধারণ একটা দিনের কথা, যেখানে এক কাপ চা-য়ের মধ্যে খুঁজে পাই জীবনের মানে।

লেখা আমার কাছে কখনও কখনও একটা নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা। চারপাশের কোলাহলে যখন হারিয়ে যাই, তখন লেখার মধ্যেই ফিরে পাই নিজেকে। অনেক সময় রাতের নির্জনতায় বসে লিখি—একদম মনের গহীন থেকে, কারো জন্য নয়, নিজের জন্য।

এই ব্লগ আমি শুরু করেছি নিজের কথা বলার জায়গা হিসেবে। কিন্তু সময়ের সাথে বুঝতে পেরেছি, আমার কথার মধ্যে অনেকেই নিজেদের খুঁজে পান। অনেকেই ইনবক্সে বলেন, “আপনার লেখা পড়ে মনে হলো কেউ যেন আমার মনের কথাই বলে দিয়েছে।” তখন বুঝি, আমি একা নই। আমার লেখার মধ্য দিয়ে আমরা কেউ না কেউ একে অপরকে স্পর্শ করছি।

লিখি কারণ অনেক কিছু বলা যায় না মুখে—কিন্তু বলা যায় কলমে।

লিখি কারণ আমি অনুভব করি।

লিখি কারণ লিখতে না পারলে দমবন্ধ লাগে।

আমার লেখার মধ্য দিয়ে যদি একজন মানুষের মন ছুঁয়ে যেতে পারি, যদি কোনো চিন্তা জাগিয়ে তুলতে পারি, তাহলেই আমার লেখা সার্থক। Voice of Ashfaque তাই শুধু আমার নয়, এটা তাদেরও কণ্ঠস্বর যারা মুখ ফুটে বলতে পারে না, কিন্তু ভাবতে পারে—গভীরভাবে।

আপনি যিনি এই লেখা পড়ছেন—আপনার চোখে আমার এই শব্দগুলো ছুঁয়ে গেলে, বিশ্বাস করুন, আপনি আমার লেখার কারণ।

লেখা: মুহাম্মাদ আবু আশফাক