বর্তমানে প্রযুক্তির হাত ধরে শিশুদের জীবনে মোবাইল একটি স্বাভাবিক উপকরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অভিভাবকদের প্রধান দুশ্চিন্তা হচ্ছে কিভাবে শিশুদের মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্ত করা যায়? চলুন জেনে নেই কার্যকর ৭টি উপায়:
১. সময়সীমা নির্ধারণ করুন
শিশুর মোবাইল ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন। যেমন দিনে ৩০ মিনিট বা ১ ঘণ্টা। সময় পেরিয়ে গেলে সজাগভাবে তা বন্ধ করার অভ্যাস তৈরি করুন।
২. বিকল্প বিনোদনের ব্যবস্থা করুন
শিশুরা মোবাইল ব্যবহার করে আনন্দ খুঁজে নেয়। তাই তাদের জন্য খেলনা, বই, আঁকাআঁকি, ব্লক গেমস বা পরিবারের সাথে খেলার মতো বিকল্প দিন।
৩. শিশুদের সাথে সময় কাটান
শুধু নির্দেশ দিলেই হবে না, বরং তাদের সাথে সময় কাটান, গল্প করুন, হাঁটতে যান। বাবা-মায়ের উপস্থিতি শিশুদের মোবাইল থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে।
৪. প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজে উদাহরণ হন
আপনিও যদি সারাক্ষণ মোবাইলে থাকেন, তবে শিশুও তা অনুসরণ করবে। তাই নিজের ব্যবহারে সংযম আনুন।
৫. শিক্ষামূলক কনটেন্টে আগ্রহী করে তুলুন
যদি মোবাইল দিতেই হয়, তাহলে তা যেন শুধুমাত্র শিক্ষামূলক ভিডিও, গল্প বা কুইজে সীমাবদ্ধ থাকে।
৬. পর্যবেক্ষণ ও প্রশংসা করুন
যখন শিশু মোবাইল ছাড়াও খেলাধুলা বা বই পড়ে সময় কাটায়, তখন তাকে প্রশংসা করুন। এতে সে উৎসাহিত হবে।
৭. ধৈর্য ধরুন, ধীরে ধীরে অভ্যাস বদলান
এই পরিবর্তন রাতারাতি সম্ভব নয়। ধৈর্য ধরে, ভালোবাসা ও নিয়মিত প্রচেষ্টায় আসক্তি কমানো সম্ভব।
শেষ কথা:
শিশুদের মোবাইল আসক্তি কোনো অপরাধ নয়, বরং এটি সময় ও সুযোগের প্রতিফলন। সচেতন অভিভাবক হিসেবে আপনি যদি যথাযথ পথে পরিচালিত করেন, তাহলে সহজেই শিশুকে মুক্ত রাখা সম্ভব।
.jpeg)
0 মন্তব্যসমূহ
আপনার মূল্যবান মতামত আমাকে নতুুন নতুন আপডেট দিতে উৎসাহিত করবে।
ধন্যবাদ